![]() |
তখন প্রাণের ভাষা আর বইমেলার টানে অনেকে অবশ্য ছুটে যান দেশে। কিন্তু প্রবাসের জীবনের কঠিন বাস্তবতায় অনেকে আবার যেতেও পারেন না। তারা টেলিভিশন দেখে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুটা বইমেলার অনুভূতি টের পাবার চেষ্টা করেন। আর যারা প্রবাসে সাহিত্যচর্চা করেন, তাদের বেদনা আরও বেশি। কারণ কঠোর নিয়মশৃঙ্খলার বাইরে বেরিয়ে তাদেরকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করে যেতে হয়। দূর প্রবাস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, তারপর সময়মতো নির্ভুল একটি বই বের করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এরপরের অপেক্ষা বইটি হাতে পাওয়ার।
নতুন বইয়ের গন্ধ বুক ভরে টেনে নেওয়ার সেকি অপেক্ষা! কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই অপেক্ষা হয়ে ওঠে অনেক দীর্ঘ। এরপরও অক্লান্ত লেখকেরা লিখে যান। এতটুকু মন খারাপ করেন না। তবে এবার ভিন্ন একটি ঘটনাই ঘটে গেছে নিউ ইয়র্কে। ‘নতুন বইয়ের গন্ধ’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের লেখকদের অনেকে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। কারো কারো একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়।
আর এসব বইয়ের বেশ কিছু বইমেলা থেকে পরম মমতায় নিউ ইয়র্কে বয়ে এনেছেন মনজুর কাদের। পরে ‘নতুন বইয়ের গন্ধ’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় সেইসব কৃতি লেখকদের। নতুন বইয়ের গন্ধ বিনিময় করেন সবাই। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে লেখকদের হাতে তাদের লেখা বই তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসান ফেরদৌস, নিনি ওয়াহেদ, রানু ফেরদৌস, আহমাদ মাযহার, ফেরদৌস সাজেদীন, শিরিন বকুল, শামীম আল আমিন, মোশাররফ হোসেন, মনিজা রহমান, খালেদ শরফুদ্দিন, রওশন জাহান, আলম সিদ্দিকী, উইলি মুক্তি, রিমি রুম্মানসহ অনেকে। এসময় সেখানে একটি আনন্দঘন পরিবেশের তৈরি হয়। চমৎকার একটি সন্ধ্যায় অন্যরকম একটি গল্প তৈরি হয়। বাস্তবের এ গল্প সবার স্মৃতিতে থাকবে অনেকদিন।
< পূববর্তী | পরবর্তী > |
---|