হাকিকুল ইসলাম খোকন/বাপ্স নিউজ/প্রবাসী নিউজ ঃ বষ্টনবাংলা নিউজ ঃ দ্যা ইন্টারফেইস সেন্টার অব নিউইয়র্ক ও আইনী সহায়তা সংগঠন নিউইয়র্ক এর উদ্যোগে গত ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ See details
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি
প্রধান সম্পাদক
সম্পাদক
সহযোগী সম্পাদক
রাজনীতি ও সমরবাদিতার সাথে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলে দখলতন্ত্র চালু হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে।
মুসলমানদের প্রথম কেবলার মসজিদ বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের কাছ থেকে কেড়ে নেবার চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্ফ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সহ সারা দুনিয়ায় কোনঠাসা হয়ে গেলেন।আল্লাহ্র ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজেকে মহাশক্তিধর ভাবতে দুনিয়ায় যুগে যুগে নমরুদের অনুসারীর উত্থান হয়ে আসছে।তাদের সবাই আল্লাহ্র দেয়া শাস্তির উদাহরণ হয়েছেন মানবজাতির কাছে।কেউই মহাপরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র দেয়া নির্ধারিত সীমার বাহিরে যাবার চেষ্টা করে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়নি। তা যেমন অতীতে হয়েছে,বর্তমানেও তাই,ভবিষ্যতে কোন ব্যতিক্রম হবেনা।
 ইহুদীদের মধ্যেকার কে না জানে ফেরাউনের পরিণাম?যে আল্লাহ্র সাথে নিজেকে তূলনা করে বিলাসজীবনের সেরা নিদর্শন বানিয়ে তাকে বেহেশত বলে চ্যলেঞ্জ করেছিলেন।অথচ তাকে তুচ্ছদের চেয়েও তুচ্ছে পরিণত হতে বাধ্য করা হয়েছিলো। তাচ্ছিল্যের পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিলো আল্লাহ্র হুকুমে মৃত্যুর কাছে আত্নসমর্পনের আগে।সমুদ্রে ডুববার আগে। Â
খৃষ্ঠান সম্প্রদায়ের মধ্যেকার কে না জানেন যেÂ হযরত ঈষা(আঃ) কে আল্লাহ্র নবীÂ না মেনে তাকে যারা শুলে গেঁথে প্রাণ কেড়ে নিতে উদ্যত হয়েছিলো আল্লাহ্র অলৌকিক ক্ষমতায় তাকে তিনি উপস্থিত জালেমদের মধ্য থেকে সরিয়ে নিলেন।
 আবার মরিয়ামের পুত্র ঈষাকে দুনিয়ায় পাঠাবেন তার প্রার্থনা পূরণ করতে।তাকে আল্লাহ মানবজাতির শিক্ষক ও পথ প্রদর্শক অর্থাৎ একজন মহান নবী করেছিলেন।আল্লাহ্র এই প্রিয় নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ(দঃ)এর উম্মত হয়ে আল্লাহ্র কাছে হাজির হওয়াকেই অধিকতর সম্মানিত বলে জেনেছেন এবং তার এই প্রার্থনা মনজুর চেয়েছেন। কোরআন,জবুর,ইঞ্জিল ও তওরাত গবেষণাকারীরা এসব কথা সব সময় প্রচার করে এসেছেন।তবে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তার পরিকল্পনাই কার্যকর করবেন।    Â
আমরা আমেরিকানরা দেখছি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্ফ এবং হোয়াইট হাউস কোনঠাসা হয়েছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন ইস্যু বিষয়ে অতি সাম্প্রতিক ভোটাভূটিতে।এতে আমেরিকা প্রতিনিধি ভোটে তাকে সমর্থন দিতে সারা দুনিয়ার কোন দেশকে পায়নি।বিশ্ব সুপারপাওয়ার আমেরিকার জন্যে এই পরিস্থিতি একটি নয়া উদাহরণ হয়ে গেলো। হোয়াইট হাউসের বিগত প্রশাসনের কালে সারা বিশ্বকে দেখেছি আমেরিকার সমর্থনে।অল্প কদিনের ব্যবধানে আমেরিকার নেতৃত্ব হয়ে গেলো ইতিহাসের অংশ।এই অবস্থা থেকে আমেরিকাকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে হবে।এই প্রত্যাশা আমেরিকানদের। Â
নাগরিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের রাজনৈতিক প্রকৌশল বা টেকনোলজি কি হতে পারে?প্রেসিডেণ্ট ওবামার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের মতে আমেরিকার স্বার্থরক্ষার ও মর্যাদা টিকিয়ে রাখার একমাত্র পথ হচ্ছে কূটনৈতিক উপায়।বিশেষ করে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কিত ঘটনায় দেখা গেছে আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহ সকল প্রতিযোগীই আমেরিকার উদ্যোগে দৃঢ় সমর্থন করেছে।বর্তমানে ট্রাম্ফ প্রশাসনের কালে ট্রাম্ফ হার্ড লাইনে চলছে ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে।ট্রাম্ফ অবশ্য নিজেই গৌরব প্রকাশ করেন এই বলে যে,তিনি এবং তার প্রশাসন অতীতের কারো মতো নন।তারা অনেক শক্ত এবং শক্তিশালী, সাহসী।Â Â Â
জার্মান বংশদ্ভূত ডোনাল্ড ট্রাম্ফ উত্তর কোরিয়াকে উস্কে দিয়ে আমেরিকার প্রশাসন অনেক সফল হয়েছে বলে অনেকে দাবি করেন।ভিন্নমত হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায় যুদ্ধ করার ক্ষমতা আমেরিকার নেই।মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমান রাষ্ট্রগুলো রাজতন্ত্রেরÂ পৃষ্টপোষকতার বিনিময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্ফ প্রশাসন এবং নেতানিয়াহু প্রশাসনকে তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে একমাত্র সহযোগী হয়েছে।
 যুদ্ধংদেহীদের প্রভাবের বাস্তবতায় এসেছে পরিবর্তন । প্রচলিত কূটনীতিকে অতিক্রম করে শক্তিচর্চায় অগ্রাধিকার দেখাচ্ছে ওরা।বিশ্বরাজনীতির প্রতিযোগীতার কৌশলে আঘাত হানছে এই বিশেষ শক্তি।চেষ্টা করছে আর ব্যর্থ হচ্ছে বিবেকের শক্তিকে বিভক্ত করতে,করতে দূর্বল।দুনিয়ার জাতিসমূহ এই বর্বরতার কাছে হেরে যেতে হচ্ছেনা রাজি।তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে ট্রাম্ফ ও নেতানিয়াহুর আবদার।এই গোষ্ঠীটি দানবীয় অপরাধের চাপের নীচে মানবজাতিকে থেতলে দিতে উদ্যত হয়েছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছে ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্ফের ঘোষণা অনুসরণ করে ইহুদি দখলদারিত্বকে স্থায়ী করার লক্ষ্যে জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী করার সমর্থন দিতে।সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনিতা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন গতকাল।
১২ই ডিসেম্বরÂ (সোমবার) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসলেসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি আরো বলেছেন, বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেনে চলবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নেতানিয়াহু প্যারিস থেকে ব্রাসেলসে গেছেন। ২২ বছরের মধ্যে এটা ইসরাইলের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর।Â Â Â Â
 গত বুধবার বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু। কিন্তু ইউরোপের বহু দেশ এর বিরোধিতা করেছে। এমনকি ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ চেক প্রজাতন্ত্র বলেছে, ট্রাম্পের পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য খারাপ। তবে নেতানিয়াহু অনেকটা পীড়াপীড়ি করে বলেছিলেন, "আমি বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ কিংবা বেশিরভাগ দেশ বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এবং তেল আবিব থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে নেবে।
 এদিকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু মঙ্গলবার বলেছেন, “কয়েকটি আরব দেশ খুবই দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যেন তারা আমেরিকাকে অত্যন্ত ভয় পায়।” তিনি আরো বলেন, “যেসব দেশ এখনো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় নি আমরা সেইসব দেশের প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানাব।”   Â
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুধবার ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সেখান থেকে এ সংস্থার সদস্য দেশগুলোকে আমেরিকার “আমি পরাশক্তি, আমি যা খুশি তাই করতে পারি” -এই মানসিকতার বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে। Â
 ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক ব্যর্থতার পর এখন বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন জানিকলি'র সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি আরও বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় পরাজয়, ইরাকের কুর্দিস্তানকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার কেলেঙ্কারির পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর চলমান পরিস্থিতিতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন চানিক্লি টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দু জনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্প ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে উল্লেখ করেন।
ফোনালাপে দুই মন্ত্রী ইরান ও তুরস্কের সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ঘটনাবলী নিয়ে কথা বলেন। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বার বার মার্কিন নীতির ব্যর্থতা বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের পতন এবং ইরাকের কুর্দিস্তানকে বিভক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের ঘটনায় মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়েছে। এসব ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসময় বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন।
এতে সংঘাত বাড়ছে।আমেরিকা ও ইজরাইলের প্রতি বিশ্বসমাজের বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে,যে ধারায় আমেরিকা হারাচ্ছে নেতৃত্ব।শুন্যতা পূরণে নেতৃত্বে উঠে আসছে নয়া শক্তির জোট।
(লেখক আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক ওÂ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংস্থা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান)।